মালডাঙ্গা রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশন এর সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবের এই পরম শুভ মুহূর্তে আমি উৎসব কমিটির পক্ষ হতে এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে অনুষ্ঠান মঞ্চে সমাগত শ্রদ্ধেয় সভাপতি প্রধান অতিথির বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও সমবেত শুভানুধ্যায়ী সুধীমণ্ডলীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও স্বাগত সম্ভাষণ জানাই। আপনাদের শুভাগমণে বিদ্যালয় আজ আনন্দ মুখরিত উদ্বেলিত আজ বিদ্যালয়ের হৃদয়। আনন্দের এই মিলন যজ্ঞে আপনাদের সকলকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবার সঙ্গে সঙ্গে সকৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করি সেই সমস্ত মহান ব্যক্তিকে যাঁদের উদ্যোগ সহায়তা ও প্রচেষ্টার ফলেই বিদ্যালয়টি একদিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরা ও ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ৫০ বছরের সীমানা পেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। কালের স্বাভাবিক নিয়মে তাঁদের অনেককেই আজ আমরা হারিয়েছি কিন্তু তাঁদের প্রচেষ্টায় সেদিন এ অঞ্চলে শিক্ষার যে দীপশিখাটি জ্বলে উঠেছিল তা আজও অনির্বান থেকে তাঁদের অমর কীর্ত্তির স্বাক্ষর বহন করে চলেছে।
আজ আমরা যে বিদ্যালয়টির সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করতে চলেছি, কথিত আছে তারই অভ্যন্তরে কয়েকটি মাটির ঘর নিয়ে শতাধিক বছর আগে মালডাঙ্গা মধ্য ইংরাজী বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় আত্মপ্রকাশ করে। সালটা ছিল খুব সম্ভবতঃ ইং ১৮৮৫ সাল। এই অঞ্চলের সেদিনের চেহারার সঙ্গে আজকের চেহারার আসমান জমিন ফারাক। সেদিন বাইরের এলাকার সঙ্গে যোগা যোগের একমাত্র উপায় ছিল নদীপথ - যে নদী আজও বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে প্রবাহমানা। গ্রাম গুলি ছিল দারিদ্র্য পীড়িত এবং গ্রামবাসীদের অধিকাংশই ছিল শিক্ষার আলোক হতে বঞ্চিত। কিন্তু কি জানি কোন এক মহৎ প্রেরণার বশবর্তী হয়ে সেদিন পার্শ্ববর্তী খাঁপুর বাবুনপুর ও বাঘাসন গ্রামের বিদ্যানুরাগী মানুষগুলি একত্রিত হয়েছিলেন এবং মালডাঙ্গা মধ্য ইংরাজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সে কাহিনী আজ বিস্মৃত প্রায়।
এল ১৯৪৭ সাল। প্রায় ২০০ বছরের পরাধীনতার অবসান ঘটিয়ে দেশ স্বাধীন হলো। মানুষের অন্তরে ঘুমিয়ে থাকা জ্ঞানলাভের আকাঙ্খা স্বাধীনতার অনুকূল পরিবেশে নুতন করে জেগে উঠলো। জেগে উঠলেন পূর্ব-উল্লিখিত গ্রামগুলির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির বিদ্যোৎসাহী একদল মানুষ এগিয়ে এলেন বিদ্যালয়টিকে নব-কলেবরে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্রতী হলেন মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়টিকে উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে পরিণত করার মহৎ প্রয়াসে। একাজে সকলের সাথে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন বাবুনপুর গ্রামের প্রয়াত অনাদি প্রসাদ মণ্ডল যিনি প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক-রূপে আমৃত্যু এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন এবং এর প্রতিটি উন্নয়ন মূলক প্রচেষ্টার সার্থক রূপায়নে সহায়তা করে গিয়েছেন। নুতন কলেবরে বিদ্যালয়টির নামকরন হলো মালডাঙ্গা রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউশন যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট হতে উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি লাভকরে ১৯৪৯ সালে।
স্বাধীনতা-উত্তর কালে আমাদের রাজ্যে তথা সমগ্র দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা ও কাঠামোর পরিবর্তন ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে। গঠিত হয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে। এই পর্ষদই একদা অনুমোদন দিয়েছে একাদশ শ্রেণীযুক্ত বিদ্যালয়গুলির। পরবর্ত্তীকালে গঠিত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সংসদ যা আজও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে পরিবর্তনের এই প্রতিটি ধারার সঙ্গেই বিদ্যালয়টি যুক্ত থেকেছে যদিও প্রথম পর্যায়ে এবং স্বাভাবিকভাবে এর অনুমোদন আসে নি। কিছুটা প্রতিযোগিতার সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্ব যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই একে যথাক্রমে উচ্চতর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি আদায় করতে হয়েছে ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই বিদ্যালয়টি আজও তার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ও আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সম্বল করে। এবং সেই প্রয়াস ও প্রচেষ্টার দ্বারাই বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহন এবং পালন করে চলেছে।
গাছকে চেনা যায় তার ফলের মাধ্যমে। একটি বিদ্যালয়কেও চেনায় তার ছাত্রছাত্রীরা। বিভিন্ন চূড়ান্ত পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ফলাফলের একটি সম্ভাব্য খতিয়ান দেওয়া আছে স্মরণিকার পাতায়। যা দেওয়া হয়ে ওঠেনি তা হলো খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, বিজ্ঞান মেধা পরীক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের হিসাব যা কিছু কোন অংশে কম উল্লেখযোগ্য নয়। সে সাফল্যের তালিকায় ব্লক, মহকুমা, জেলাস্তর পেরিয়ে রাজ্যস্তরেও প্রতিনিধিত্ব করার নজির আছে। অন্ততঃ ২ বার স্বল্পখ্যাত এই বিদ্যালয়কে সংবাদের শিরোনামায় তুলে এনেছে তারই দুই কৃতী ছাত্র- ১) সিংহালী গ্রামের শ্রীরবীন্দ্রনাথ রজক ও ২) বাবুনপুর গ্রামের শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল যথাক্রমে ১৯৬৩ সালে স্কুল ফাইন্যাল পরীক্ষায় ৭ম ও ১৯৯৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১৯ তম স্থান অধিকার করে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তণের সময় হতেই এই বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ ঐ পরীক্ষাতেও ধারাবাহিকভাবে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসছে।
প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আজ অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, আইন ব্যবসায়ী, মহকুমা শাসক, উচ্চপদস্থ সরকারী অফিসার, বিদ্যালয় পরিদর্শক, ব্যাঙ্ক অফিসার, প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক, ইত্যাদি রূপে সমাজ তথা দেশ সেবায় রত। ব্যবসার জগতে ও কৃষিক্ষেত্রে কেউ কেউ আবার চরম সাফল্যের নিদর্শন রেখেছেন। কেউ কেউ সংসার জীবনের সীমায়িত গণ্ডির বাইরে গিয়ে মঠ ও মিশনে আধ্যাত্মিক সাধনায় রত। এদের কারুরই কৃতিত্ব কারুর চেয়ে কোন অংশে কম নয়। তাঁদের অনেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে আসীন কেবল অভ্যন্তরেই নয়, বিদেশের মাটিতেও। বিদ্যালয়ের সম্ভাবনাপূর্ণ বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী বর্তমানে বিভিন্ন মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সহ অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। আশা করবো তারাও তাদের পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বিদ্যালয়ের মর্য্যাদা বৃদ্ধি করবে যা দেখে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ছাত্রছাত্রীরা অনুপ্রাণিত হবে এবং তাদের প্রকৃত উত্তরসূরী হবার জন্য প্রয়াস পাবে।
বিদ্যালয় গৃহটি বর্তমানে উৎসবের রঙে রাঙানো হলেও এর অভ্যন্তরের কয়েকটি ঘরের সংস্কার ও সম্প্রসারণ বিশেষ প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থেরও। সুবর্ণ জয়ন্তীর স্মারক হিসাবে চিহ্নিত করার সংকল্প নিয়ে বিদ্যালয় সেই কাজে ব্রতী হয়েছে এবং বিদ্যালয় তথা সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটির পক্ষ হতে বিদ্যালয়ের শুভনুধ্যায়ী, ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক/অভিভাবিকা ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণের উদ্দেশ্যে মুক্তহস্তে দান করার আবেদন জানানো হয়েছে। অনেকেই খোলা মনে এগিয়ে এসেছেন বা আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাকীরাও এগিয়ে আসবেন এ বিশ্বাস আমার আছে। সেইসঙ্গে সরকারী পর্যায়ে বিশেষ করে পঞ্চায়েত স্তরে বিদ্যালয়টিকে গৃহনির্মান প্রকল্পে আর্থিক অনুদানের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার অনুরোধ রাখি।
সাধারণতঃ বাঘাসন ও শুশুনীয়া অঞ্চলের কমপক্ষে ১৬ খানি গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করার জন্য আসে। সভাবতঃ কারণেই ভর্তির চাপ এখানে বেশী। এই অঞ্চলে দুটি জুনিয়ার বালিকা বিদ্যালয় সহ ৫টি জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয় থাকায় নবম শ্রেণীতে ছাত্র বিশেষ করে ছাত্রী ভর্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। নবম শ্রেণীতে অতিরিক্ত একটি সেক্সন খুলেও সেই সমস্যার সমাধান করা যায়নি। বিদ্যালয়কে এটা খুবই পীড়িত করে। এই অঞ্চলে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ সকল ছাত্র/ছাত্রীর ভর্তির সুষ্ঠু ব্যবস্থার জন্য এখানে অন্ততপক্ষে একটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অনুমোদন বিশেষ জরুরী। স্থানীয় মানুষ এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারী সহযোগিতায় সেই উদ্যোগ সফল হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
বিদ্যালয়টির অগ্রগতির পথে বিভিন্ন সময়ে যাঁরা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, যাঁরা এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে শিক্ষার মানকে উন্নত করেছেন তাঁদের যথা সম্ভব তালিকা স্মরণিকায় লিপিবদ্ধ আছে। তাঁদের প্রত্যেকের এবং সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে আমি শ্রদ্ধার্থ নিবেদন করি। সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ভালবাসার মহান আদর্শ অনুসরণ করে মূল্যবোধের যে নিদর্শন তাঁরা রেখে গিয়েছেন তা বর্তমান প্রজন্মের সংশ্লিষ্ট সকলের চলার পথে পাথেয় হয়ে থাকুক -এই কামনা করি।
মাননীয় সভাপতি, প্রধান অতিথি, উদ্বোধক, বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও সমাগত বিদ্যালয় অনুরাগী সুধীবৃন্দ তাঁদের নানা ব্যস্ততার মধ্যেও গ্রামীন এই বিদ্যালয়ের ডাকে সাড়া দিয়েছেন এবং সভায় উপস্থিত থেকে সভার গৌরব বৃদ্ধি করেছেন সেজন্যে তাঁদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই।
জাতীয় জীবনের এক পরম লগ্নে এই বিদ্যালয়টি তার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব পালন করছে, একদিকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের মহাসমারোহ, অপর দিকে স্বাধীনতার বীর সেনা নায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবর্ষের শুভ সমাপ্তি। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে ভারতাত্মার মূর্ত প্রতীক স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো সম্মেলন হতে প্রত্যাবর্তনের শতবর্ষ উদযাপনের মহা আয়োজন। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বিদ্যালয়ের উৎসব প্রাঙ্গণ আপনাদের সকলের সমাগমে তাই আজ মহা মিলন তীর্থে পরিণত। সেই তীর্থস্থানের পবিত্র ভূমিতে অনুষ্ঠিত আজকের এই অনুষ্ঠান বিদ্যালয়ের ৫০ বছরের কার্যকালে সর্বাপেক্ষা গৌরবময় অনুষ্ঠান ও ঘটনারূপে চিহ্নিত হয়ে থাকুক আপনাদের সকলের শুভ আশীর্বাদ ও শুভ কামনা এর আগামী ৫০ বছরের চলার পথকে প্রশস্ত করুক -এর অগ্রগতির প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্যে কীর্তিতে ও বৈচিত্রের মহিমায় মহিমান্বিত হোক আজকের এই চরমক্ষণে এই পরম কামনাই হোক আমার আপনার ও আমাদের সকলের একমাত্র কামনা।
বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালন সমিতি শিক্ষক/শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক/অভিভাবিকা, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছাত্র/ছাত্রী প্রভৃতির কাছে আমার একান্ত নিবেদন আসুন আজ আমরা এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মানুষের উদ্যোগ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার কথা স্মরণ করে তাঁদের গৌরবে গৌরবান্বিত হই। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন স্বরূপ তাঁদের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিকে অসীম মমতায় লালন পালনের অঙ্গীকার করি। অন্তর দিয়ে একে ভালবাসি, এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই, আগামী দিনে একে এগিয়ে নিয়ে যাই এবং একে প্রকৃত মানুষ গড়ার কারখানায় পরিণত করার নূতন করে শপথ গ্রহণ করি। আসুন আমরা কথায় এবং কাজে, মনে ও চিন্তায় তার প্রতিফলন ঘটাই।
শ্রী নিমাই চরণ মণ্ডল
সভাপতি, সুবর্ণ জয়ন্তী কমিটি ও প্রধান শিক্ষক
★★
বর্ষে বর্ষে দলে দলে - আসে বিদ্যা মঠতলে
চলে যায় তারা কলরবে।
কৈশোরের কিশলয় - পর্ণে পরিণত হয়
যৌবনের শ্যামল গৌরবে ।।
-কবি শিক্ষক কালিদাস রায়